মসজিদের যে Water Cooler এখন আর ব্যবহার হচ্ছে না সেটা তারা কি করবে?

প্রশ্ন মসজিদের পাশে বাইরে বড় একটি Water Cooler রাখা আছে; সেটি বিক্রি করে দেয়ার হুকুম কি? এক ব্যক্তি সেটি মসজিদের জন্য ওয়াক্‌ফ করেছেন। কিন্তু সেটি ব্যবহার হয়নি। এভাবে পড়ে আছে। একজন মানুষও সেটা থেকে পানি পান করিনি। কারণ মসজিদের ভেতরে একটা Water Cooler আছে। মানুষ ভেতরেরটা থেকে পানি পান করে। কেউ বাহিরেরটা ব্যবহার করিনি। এই…

প্রশ্ন

মসজিদের পাশে বাইরে বড় একটি Water Cooler রাখা আছে; সেটি বিক্রি করে দেয়ার হুকুম কি? এক ব্যক্তি সেটি মসজিদের জন্য ওয়াক্‌ফ করেছেন। কিন্তু সেটি ব্যবহার হয়নি। এভাবে পড়ে আছে। একজন মানুষও সেটা থেকে পানি পান করিনি। কারণ মসজিদের ভেতরে একটা Water Cooler আছে। মানুষ ভেতরেরটা থেকে পানি পান করে। কেউ বাহিরেরটা ব্যবহার করিনি। এই Water Cooler বিক্রি করে দিয়ে এর মূল্য মসজিদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করার হুকুম কি? কিংবা সেটাকে এমন কোন স্থানে স্থানান্তরিত করা যেখানে এটি কাজে লাগবে; যদি এটি বিক্রি করা না যায়। এমন কোন স্থানে এটাকে স্থানান্তর করা হবে যেখানে লোক সমাগম হয়। যেমন- কোন সেনা ইউনিট।

মসজিদের পাশে বাইরে বড় একটি Water Cooler রাখা আছে; সেটি বিক্রি করে দেয়ার হুকুম কি? এক ব্যক্তি সেটি মসজিদের জন্য ওয়াক্‌ফ করেছেন। কিন্তু সেটি ব্যবহার হয়নি। এভাবে পড়ে আছে। একজন মানুষও সেটা থেকে পানি পান করিনি। কারণ মসজিদের ভেতরে একটা Water Cooler আছে। মানুষ ভেতরেরটা থেকে পানি পান করে। কেউ বাহিরেরটা ব্যবহার করিনি। এই Water Cooler বিক্রি করে দিয়ে এর মূল্য মসজিদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করার হুকুম কি? কিংবা সেটাকে এমন কোন স্থানে স্থানান্তরিত করা যেখানে এটি কাজে লাগবে; যদি এটি বিক্রি করা না যায়। এমন কোন স্থানে এটাকে স্থানান্তর করা হবে যেখানে লোক সমাগম হয়। যেমন- কোন সেনা ইউনিট।

আলহামদু লিল্লাহ।.

ওয়াক্‌ফকারীর উদ্দেশ্য ও শর্তকে বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। ওয়াক্‌ফকারী যে উদ্দেশ্যে বা যে শর্তে ওয়াক্‌ফ করেছে সেটার বিপরীত কোন হস্তক্ষেপ করা জায়েয নয়; তবে জরুরী (নির্বিকল্প) অবস্থা ছাড়া।

জরুরী অবস্থার মধ্যে পড়ে: ওয়াক্‌ফটি অচল হয়ে পড়া থাকা; কাজে না-লাগা। সেক্ষেত্রে ওয়াক্‌ফকারীর উদ্দেশ্যের নিকটবর্তী কোন কিছুতে এটাকে রূপান্তরিত করা হবে।

যেহেতু ওয়াক্‌ফকারী এই ওয়াটার কুলারটা মসজিদের জন্য ওয়াক্‌ফ করেছেন এবং এই মসজিদে সেটি কাজে লাগানো যায়নি; তাই এটাকে অন্য কোন মসজিদে স্থানান্তর করা যাবে; যেখানে এটি কাজে লাগবে।

যদি এমন কোন মসজিদ পাওয়া না যায়; তাহলে সেটাকে এমন অন্য কোন স্থানে স্থানান্তর করা যেতে পারে যেখানে এটি মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে; যেমন- সেনা ইউনিট বা অন্য কোন স্থান।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই ওয়াটার কুলারটি সেনা ইউনিটে স্থানান্তর করা সঙ্গত হবে না; যদি না কুলারটি কাজে লাগার মত কোন মসজিদ পাওয়া না যায়।

শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: মসজিদের জন্য ওয়াক্‌ফকৃত জিনিস অন্যত্র স্থানান্তর করা কি জায়েয? যেমন আলমারি; মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করা?

তিনি জবাব দেন: “হ্যাঁ; ওয়াক্‌ফকৃত জিনিস অন্যত্র স্থানান্তর করা জায়েয; যদি সেটা কল্যাণকর হয়। যদি কোন মসজিদের কোন জিনিস কাজে না লাগে; যেমন- কার্পেট, আলমারি বা অন্যকিছু; তাহলে সম্ভব হলে আমরা স্বয়ং ঐ জিনিসগুলো অন্য কোন মসজিদে স্থানান্তর করব। আর যদি সেটা সম্ভবপর না হয় তাহলে আমরা এ জিনিসগুলো বিক্রি করে এর মূল্য মসজিদের কাজে ব্যবহার করব। আর যদি মসজিদটি ওয়াক্‌ফ মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত হয় তাহলে ওয়াক্‌ফ মন্ত্রণালয় এতে হস্তক্ষেপ করবে এবং যেটা ভালো সেটা করবে।”[সমাপ্ত]

[লিকাআতুল বাব আল-মাফতুহ (১৬৮)]

যেহেতু এই ওয়াটার কুলারটি অন্য স্থানে কাজে লাগানো যাচ্ছে তাই এটাকে বিক্রি করা জায়েয হবে না। যেহেতু ওয়াক্‌ফকারী এই ঠাণ্ডা পানির মাধ্যমে মানুষের উপকার করতে চেয়েছেন। সুতরাং তার এই নিয়তটি বিবেচনা করা আবশ্যকীয়।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *